বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ এবং ৫ শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবি ছাত্রদলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ দুই অস্ত্র কারবারি আটক ‘গাড়ি চুরির’ অভিযোগে ইজিবাইক চালককে পিটিয়ে হত্যা : আটক ১ টেকনাফে বিদেশি পিস্তল ও গুলি সহ আটক ১ টেকনাফে পাচারকালে ১৬ জনকে উদ্ধার, দালাল আটক কক্সবাজার শহরে পেশাদার ১২ ছিনতাইকারি গ্রেপ্তার নাফ নদীর মোহনা থেকে পাচারকালে নিত্যপণ্যসহ ট্রলার জব্দ টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে শতাধিক ঘর ভস্মিভূত, শিশুর মৃত্যু চাষিদের স্বার্থ রক্ষা করে লবণ শিল্পের উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে : শিল্প উপদেষ্টা চকরিয়ায় বিয়ের ৮ মাসের মাথায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন, শাশুড়ি আহত

শিশুকে যেসব কথা বলা ঠিক নয়

বিডিনিউজ: কিছু কথা আছে যা সন্তানের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে।

সন্তানের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য অভিভাবকের ধৈর্য্য মূল চাবি কাঠি হিসেবে কাজ করে। তবে অনেক সময় সামাজিক চাহিদা, কাজের চাপ ও ঘরের কাজ কর্মের চাপে পড়ে অভিভাবকরা নিজেদের ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন।

শিশুর মানসিক বিকাশ-বিষয়ক ওয়েবসাইট অবলম্বনে এমন কয়েকটি বিষয় এখানে তুলে ধরা হল যা শিশুদের বলা ঠিক নয়। এতে করে তাদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হয়। 

জলদি কর

অধিকাংশ শিশুরাই সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে বা চাপে পড়ে কোনো কাজ করার সময় ধীরে ধীরে করে। শিশু যত দেরিতেই কাজ করুর না কেনো তাকে ওই সময় তাড়া দেওয়া অনেক বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। সেময় বকাঝকা দিলে তা তাদের কাজের গতি না বাড়িয়ে কেবল তাদের ভেতরে অপরাধবোধই সৃষ্টি করে।

সন্তানকে তাড়া না দিয়ে বরং তাকে খেলাচ্ছলে কাজ করাতে চেষ্টা করা যেতে পারে। যেমন- দেখি কে আগে তৈরি হয়ে দরজা পর্যন্ত যেতে পারে। এতে করে শিশু সহযোগিতাপূর্ণভাবে কাজ করা শেখে।

আমাকে একা থাকতে দাও

আমাদের সবারই কাজের মাঝে বিরতি প্রয়োজন। তবে সরাসরি একথা শিশুকে বলা তার মাঝে একাকিত্বের সৃষ্টি করে।

কিছুটা সময় একা কাটাতে চাইলে সন্তানকে অন্যভাবে বুঝিয়ে বলুন। তাকে বলতে পারেন যে, আপনার জরুরি একটি কাজ আছে তা শেষ করার পরে আপনি সন্তানের সঙ্গে খেলবেন। নিজের সমস্য কাটানোর পরে অবশ্যই সন্তানকে দেওয়া কথা রাখবেন। এতে তার বিশ্বাসের জায়গা মজবুত হবে।

তোমার ভাই, বোন বা বন্ধুর মতো হতে পারনা?

অন্যের সঙ্গে তুলনা করে সন্তানের মনে অপরাধবোধ সৃষ্টি করবেন না। চেষ্টা করুন এই ধরনের কথা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া যায়।   

যখন সন্তানকে অন্য শিশুকে দেখিয়ে তার মতো হতে বলবেন তখনই আপনি তাকে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় উৎসাহিত করবেন। তাছাড়া, শিশুকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার মাধ্যমে আপনি তাকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন যে তাকে আপনার পছন্দ না, এতে শিশু মনে কষ্ট পায়।

বরং, সন্তানকে প্রশংসা করুন ও আরও ভালো হতে উৎসাহ দিন। সন্তানকে নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলতে তাকে অন্যের সঙ্গে তুলনা না করে বরং ইতিবাচকভাবে উৎসাহ দেওয়া উপকারী।

কাঁদবে না

সন্তান কখনও কষ্ট পেয়ে যদি কান্না করে তাহলে আমরা প্রায়ই তাকে কাদঁতে বারণ করে থাকি। এতে সন্তানের অনুভূতিপ্রবণতাকে দুর্বল করে দেওয়া হয়। ফলে সন্তান নিজের অনুভূতিকে আড়াল করতে শেখে যা পরে খুব খারাপ ভাবে প্রকাশ পায়।

তাই, সন্তানের কখনও কান্না পেলে তাকে বাঁধা না দিয়ে বরং সহানুভূতি প্রকাশ করুন।

তোমার বয়সে আমি এ কাজ করতে পারতাম

প্রতিটা শিশুর বিকাশের গতি ভিন্ন। তাকে আপনার সঙ্গে তুলনা করলে তার মনে হতাশার সৃষ্টি হয়। তাই সন্তানকে নিজের মনের মতো করে গড়ে তুলতে কটাক্ষ না করে বরং তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন ও কাজে উৎসাহ দিন। শুধু নিজের সঙ্গে নয় সন্তনকে সবার সঙ্গেই তুলনা করা বন্ধ করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

.coxsbazartimes.com

Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themesbcox1716222888